নওগাঁ জেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর লাশ ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী এ ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ।
কিছুতেই থামছে না সন্তানহারা মায়ের কান্না। স্বজনদের অভিযোগ, নওগাঁর দুর্গাপুরের সেলিমের সাথে ৮ বছর আগে বিয়ে হয় মহাদেবপুরের শারমিনের। বিয়ের সময় নগদ দু লাখ টাকা দেয়া হয়।
আরো পড়ুন: বড় মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে ছোট মেয়েকে বিক্রি
শারমিনের পরিবারের দাবি করে বলে, দুই লাখ টাকা দেয়ার পরে চাকুরিসহ নানা অজুহাতে আরো টাকা দাবি করে সেলিম। না দিলে চলতো অমানুষিক নির্যাতন। সবশেষ রোববার সকালে এরই জেরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শারমিনকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের ফেলে সপরিবারে পালিয়ে যায় সেলিম। বিকেলে স্থানীয়রা ঘরে তালা দেখে নিহতের পরিবারকে খবর দেয়। পরে তারা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শারমিনের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানায়, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পুলিশের।
আরো পড়ুন: পুলিশ থেকে বাাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুর পথে যুবক
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আবু সাইদ বলেন, আমরা মামলা করবো। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় আছি।
অভিযুক্ত সেলিম নওগাঁ জেলা প্রশাসনে মাষ্টার রোলে চাকরি করে, তাদের পরিবারে ৪ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।