‍‍`গুরুত্ব না দেওয়ায়‍‍` প্রেমিকাকে কোপালেন তিনি

নওগাঁয় প্রেমের সম্পর্কের জেরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এক নারীকে জখম করাসহ হাতের আঙ্গুল  বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আহত নারীর নাম আছমা খাতুন (২৭)। ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সোমবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শহরের দয়ালের মোড়ে পপুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা হামলাকারী নজমুল হোসেনকে (৪২) ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নজমুল হোসেন শহরের মাস্টারপাড়া মহল্লার মজিবর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার চকতাতারু গ্রামের বাসিন্দা আছমা খাতুন ২০১৬ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে শহরের দয়ালের মোড় এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের দয়ালের মোড় এলাকার হাসপাতাল রোড দিয়ে ওই নারী কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পেছন থেকে নজমুল হোসেন ওই নারীর ওপর চাপাতি হাতে হামলা চালান। এসময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা-ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। এক পর্যায়ে চাপাতির আঘাতে ওই নারীর ডান হাতের শাহাদত আঙুলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় আছমাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। একইসঙ্গে নজমুলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আরো পড়ুন: বড় মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে ছোট মেয়েকে বিক্রি

আটক নজমুল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমার সঙ্গে আসমার পরিচয়। একপর্যায় আমার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা মাঝেমধ্যে দেখা সাক্ষাত করতাম। কিন্তু সম্প্রতি আমার কাছ থেকে ও দূরে সরে যাচ্ছে। আমাকে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না। তই ক্ষিপ্ত হয়ে চাপাতি দিয়ে আমি কুপিয়েছি।

আরো পড়ুন: পুলিশ থেকে বাাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুর পথে যুবক

নওগাঁ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়রা নজমুল হোসেনকে আটক করে রেখেছিল। সংবাদ পাওয়ার পর তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।