ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
সারাবাংলা

করোনার টিকা গ্রহণের ১২ দিন পর ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশ: মার্চ ৭, ২০২১, ০৫:৩১ পিএম

Sports Banner
করোনার টিকা গ্রহণের ১২ দিন পর ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মাদারীপুরের বিল্লাল সরদার (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ী করোনার টিকা নেওয়ার ১২ দিন পর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন।

বিল্লাল জেলা সদর হাসপাতালের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন (টিকা) গ্রহণ করেন গত ২২ ফেব্রুয়ারি। পরদিন তার জ্বর আসলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন তিনি। ৪ দিনেও জ্বর না কমলে পরবর্তীতে গলাব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে গত ২ মার্চ শহরের বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক টিএম সাহিন ইকবালের মাধ্যমে তিনি চিকিৎসাও নেন।

গত ৬ মার্চ অবস্থার অবনতি হলে জেলা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। গত শনিবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান বিল্লাল। 

শনিবার (৬ মার্চ) রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বিল্লালের দাফন সম্পন্ন হয়।

বিল্লাল সরদারের ছেলে সাগর সরদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার বাবা টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। কিন্তু কী কারণে বাবা মারা গেলেন কিছুই বুঝতে পারছি না।

আরো পড়ুন: এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. রহিমা খাতুন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপর্যায়ে অবগত করা হবে। কী কারণে তিনি মারা গেলেন স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরীক্ষার পরে বলা যাবে।

রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খবর পেয়ে সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিরেন্ট অ্যান্ড ইমোনাইজেশন মেডিকেল অফিসার (সিমু) ডা. বিকাশ চন্দ্র দাস, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মহেশ্বর কুমার মণ্ডল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকরাম হোসেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এইচএম খলিলুজ্জামানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

আরো পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা আহত

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এইচএম খলিলুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত ৫ মার্চ সদর হাসপাতাল থেকে বিল্লাল সরদারের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৬ মার্চ করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। টিকা নেওয়ার পর বিল্লাল সরদার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক অভিজ্ঞ প্রতিনিধি কাজ করছেন। তার অন্য কোনো রোগ ছিল কি না কিংবা অন্যকোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে কি না সেগুলো নিয়ে অভিজ্ঞরা মাঠে কাজ শুরু করেছেন।

বিল্লাল সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দিা ছিলেন। স্থানীয় চরমুগরিয়া বন্দরের থাই ও অ্যালমুনিয়াম ব্যবসা করতেন বিল্লাল।

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর