একটি তর্জনীর ইশারা!
সন্ধ্যা পাল
একটি তর্জনী হিমালয় চূড়ায় উড়ালো কবিতা
অবাক বিস্ময়ে দেখল বিশ্ববাসী।
অন্ধকারে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটালো নক্ষত্র থেকে,
থৈথৈ স্বপ্নে ভাসলো বাংলা।
নিরব বিক্ষুব্ধ জনসমুদ্রে উঠল প্রবল জলোচ্ছাস
দুর্দমনীয় আকাঙ্খায় শফথের ধ্বনি।
সমস্বরে গাইল শোষনের বলয় ভাঙার গান।
মুক্ত চেতনায় সুপ্ত বাসনায়
উদ্ভাসিত হলো নতুন সূর্যোদয়।
মুক্তির মিছিলে আকাশ বাতাসে লেগেছিল কাঁপন,
চরমপত্রে ছিল শিকল ভাঙার গান।
মূহুর্তে লক্ষকোটি নত শির ছুটল উর্ধ্ব পানে।
স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে মুক্তির প্রত্যয়ে।
আনতে হবে স্বাধীনতা, শোধ দিতে হবে ঋণ।
ফেরত দিতে হবে যত অপমান
সমোন্নত রাখতে হবে বাংলা মায়ের সম্মান।
তারপর দীর্ঘ নয় মাস-
নদীবিধৌত বাংলা রঞ্জিত হলো সন্তানের উষ্ণ রক্তে,
মাতৃবক্ষ হলো মহাশশ্মান।
গগন বিদারী ক্রন্দনে স্তম্ভীত আকাশ বাতাস
গোলাবারুদ পঁচা লাশের উৎকট গন্ধে
অবর্ণনীয় দুঃখ দূর্দশায় যাপিত জীবন।
অবশেষে-
রক্তস্নানে পূর্ব গগনে নতুন সূর্যোদয়।
আলোর মিছিলে স্বপ্নের পতাকা উড়ে পতপত।
ঝড়না বেয়ে কল্লোলিত স্রোত
আন্দোলিত হতে হতে ছুটে মহাসাগরের মিলনসুখে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর,আহা! কি আনন্দ!
শোক আর সুখের অনন্য অনুভুতি।
আনন্দ বেদনায় কাঁপে টলমল মায়ের চোখের জল
কি দূর্ভেদ্য অলংঘনীয় একটি তর্জনীর ইশারা!
দেখালো পথের দিশা আনলো অমুল্য স্বাধীনতা।